টাইটানিক জাহাজ ডুবে যাওয়ার বিয়োগান্তক ঘটনা নিয়ে মার্কিন পরিচালক জেমস
ক্যামেরন তৈরি করেন তার বিখ্যাত ছবি ‘টাইটানিক’। ১৯১২ সালে টাইটানিকের
পরিণতির পটভূমিতে উচ্চবিত্ত সমাজের মেয়ে রোজ ও নিম্নবিত্ত সমাজের প্রতিভূ
জ্যাকের প্রেমকে মিশিয়ে সাজানো হয়েছে এর গল্প। এতে জ্যাক ডসন চরিত্রে
লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিও এবং রোজ ডিউইট বিউকেটার চরিত্রে অভিনয় করেছেন কেট
উইন্সলেট।
টাইটানিকের ট্রাজেডি ফুটিয়ে তোলার জন্য জেমস ক্যামেরন কম্পিউটারের সহায়তা নিয়েছেন বেশি। টাইটানিকডুবির দৃশ্য ফুটিয়ে তোলার জন্য তিনি স্কেল মডেলিং ও কম্পিউটার এনিমেশনের সাহায্য নিয়েছেন। তৎকালীন সময়ে এটাই ছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বাজেটের ছবি। এই চলচ্চিত্র তৈরিতে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ কোটি মার্কিন ডলার। ১৯৯৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর মুক্তির পর ‘টাইটানিক’ সমালোচক ও দর্শকমহলে বিপুল প্রশংসিত হয়। ১৪টি মনোনয়ন পেয়ে ১১টি বিভাগে অস্কার জেতে ছবিটি। অথচ ছবিটিতে ভুলের কমতি নেই। মুভিমিসটেকস ডটকম বের করেছে ক্যামেরনের ছবির সেই খুঁতগুলো।

* কেট উইন্সলেটের গালের তিল শুরুতে বাঁ দিকে দেখা গেলেও পরে বেখেয়ালি হওয়ায় দেখানো হয় ডান পাশে।

* ডিক্যাপ্রিওকে উদ্ধার করার জন্য হাতকড়া ভাঙার যন্ত্র খুঁজতে থাকেন কেট উইন্সলেট। ইমারজেন্সি একটি যন্ত্র চোখে পড়ে তার। কিন্তু সেটা কাঁচ দিয়ে বাধা। উইন্সলেট কাঁচ ভেঙে ফেলেন। কিন্তু পরমুহূর্তেই তিনি ছোট আকারের ওই কুড়ালটি নিতে গেলে সেখানে আবার কাঁচ দেখা যায়।

* দুটি ছবি দেখুন, কেট উইন্সলেট ও লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিওর পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া মানুষটির কোটের রঙ এবং দৈঘ্র্যের কোনো মিল নেই।

* এটাকে কি বলা যায়? সম্পাদনার ভুল নাকি বেখেয়ালি হয়ে যাওয়া? দরজার কাঁচে ক্যামেোর প্রতিচ্ছবি! এ-ও কি সম্ভব!

* প্রেমের টানে সাড়া দিয়ে টাইটানিকের রেলিংয়ের শেষ প্রান্তে লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিওর কাছে যান কেট উইন্সলেট। আগের দৃশ্যে পর্যাপ্ত জায়গা আছে মনে হলেও পরের দৃশ্যেই তা উধাও!

* কেট উইন্সলেট কুড়াল দিয়ে ডিক্যাপ্রিওকে পরানো হাতকড়া ভেঙেছেন। ভালো কথা। কিন্তু কুড়ালের কোপ হাতকড়ায় না পরে ডিক্যাপ্রিওর হাতে পড়লো সে খেয়াল ছিলো না জেমস ক্যামেরনের। হায় ঈশ্বর!

* টাইটানিক গড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু টাইটানিকের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা ছোট ডিঙি নৌকা দিব্যি সোজা হয়ে আছে!

* টাইটানিক ডুবে যাওয়ার আগে বুদ্ধিমান জ্যাক প্রেমিকাকে নিয়ে গোড়ায় উঠে যান। তাদের পাশেই এক ব্যক্তি ছিলেন। কিন্তু তিনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। সমস্যা হলো, পড়ে যাওয়ার সময় তাকে লাইফজ্যাকেট জড়িয়ে রাখতে দেখানো হয়েছে। এটা কোনো কথা হলো!

* টাইটানিক দুই টুকরো হয়ে ভেঙে যাওয়ার আগে আলো থাকার সময় এর অবকাঠামোগত নির্দিষ্ট জিনিসপত্র থাকলেও আলো নিভে যাওয়ার পর তা দেখা যায়নি।

* বরফখন্ডে আঘাতের আগে টাইটানিকের পাইপের আকার একরকম থাকলেও ডুবে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে সেটা অন্যরকম দেখিয়েছে!

* টাইটানিকের নিচের দিকের এক কক্ষে হাতকড়া পরিয়ে আটকে রাখা হয় লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিওকে। সে সময় তার পোশাকের ওপর ক্রস বেল্ট (ইংরেজি এক্স বর্ণমালার মতো) থাকলেও উইন্সলেটকে হাতকড়া ভাঙতে বলার সময় তার পোশাক থেকে সেটা উধাও হয়ে যায়।

* জেমস ক্যামেরনের টাইটানিকের সব জিনিসপত্র যে ফোমের তৈরি তা একটু লক্ষ্য করলেই বোঝা যায়। তাই এই জাহাজের ডুবে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু না!

* কেট উইন্সলেটকে নিয়ে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্রদের ডেকে আনন্দ-ফূর্তি করতে যান লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিও। সে সময় শুরুতে তার চুলগুলো কপাল বেয়ে নেমে এলেও পরক্ষণেই তা পরিপাটি হয়ে গেছে। হায়রে কি জাদু!

* টাইটানিক হেলে গেছে, তাই যাত্রীদেরও গড়িয়ে নিচে পড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। দৃশ্যটি ধারণের জন্য জেমস ক্যামেরন ও তার দল অভিনয়শিল্পীদের গায়ের পোশাকে তার জড়িয়ে দেন। সেটা টানতেই সবাই গড়িয়ে পড়তে থাকে। কিন্তু তা পর্দায় দেখা গেলে পরিচালকের কেরামতি কোথায় রইলো!

* একটি দৃশ্যে তিনজনকে দিনের বেলায় সূর্যের আলোয় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে জাহাজের তিন কর্মকর্তাকে। তাদের মধ্যে একজনের ছায়ায় ক্যাপের যে মাপ দেখা গেছে আসল ক্যাপ ছিলো সে তুলনায় ছোট। ফলে সহজেই বোঝাই যাচ্ছে, দৃশ্যটি বানানো হয়েছে কম্পিউটারে।

* টাইটানিকের ভেতর বরফজল ঢুকে পড়েছে। এর মধ্যেওে হৃদয়ঘটিত ব্যাপার চলছিলোই। উইন্সলেটকে বিয়ে করতে চাওয়া বিলি জেন প্রেমিকাকে নিয়ে ডিক্যাপ্রিওর পালিয়ে যাওয়ার সময় গুলি করেন। সেই গুলি থেকে বাঁচতে টাইটানিকের অভ্যন্তরে বাড়তে থাকা জলে পেরিয়ে ছুটতে থাকেন দু’জনে। ওই দৃশ্যে কারিগরি বিভাগের লাইট বিচক্ষণ দর্শকের চোখ এড়ায়নি।

* ডিক্যাপ্রিওকে উদ্ধার করতে ভয়-ভীতি দূর করে এগিয়ে আসেন উইন্সলেট। তিনি আসার সময় পাশের কক্ষে কোনো বালিশ দেখা যায়নি। কুড়াল খুঁজতে তিনি যখন যাচ্ছিলেন তখন জাদুকরি বালিশ এলো কোত্থেকে!

* উইন্সলেটের অনাবৃত ছবি আঁকতে কাগজ আর পেন্সিল নেন ডিক্যাপ্রিও। শুরুতে কাগজে দাগ দেখা গেলেও পরক্ষণে সেই দাগ উধাও হয়ে যায়!

* বিত্তশালীর মেয়ে হলেও হতাশা থেকে কেট উইন্সলেট আত্মহত্যা করতে টাইটানিকের রেলিং ধরে নেমে পড়তে যান সাগরে। তাকে থামান ডিক্যাপ্রিও। রেলিং ধরে কেট দাঁড়িয়ে থাকার সময় তার হাতের সঙ্গে কালো রঙা লেইস দেখা যায়। কিন্তু পরক্ষণে তা আর দেখা যায়নি।
POSTED BY BIKRAM
টাইটানিকের ট্রাজেডি ফুটিয়ে তোলার জন্য জেমস ক্যামেরন কম্পিউটারের সহায়তা নিয়েছেন বেশি। টাইটানিকডুবির দৃশ্য ফুটিয়ে তোলার জন্য তিনি স্কেল মডেলিং ও কম্পিউটার এনিমেশনের সাহায্য নিয়েছেন। তৎকালীন সময়ে এটাই ছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বাজেটের ছবি। এই চলচ্চিত্র তৈরিতে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ কোটি মার্কিন ডলার। ১৯৯৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর মুক্তির পর ‘টাইটানিক’ সমালোচক ও দর্শকমহলে বিপুল প্রশংসিত হয়। ১৪টি মনোনয়ন পেয়ে ১১টি বিভাগে অস্কার জেতে ছবিটি। অথচ ছবিটিতে ভুলের কমতি নেই। মুভিমিসটেকস ডটকম বের করেছে ক্যামেরনের ছবির সেই খুঁতগুলো।

* কেট উইন্সলেটের গালের তিল শুরুতে বাঁ দিকে দেখা গেলেও পরে বেখেয়ালি হওয়ায় দেখানো হয় ডান পাশে।

* ডিক্যাপ্রিওকে উদ্ধার করার জন্য হাতকড়া ভাঙার যন্ত্র খুঁজতে থাকেন কেট উইন্সলেট। ইমারজেন্সি একটি যন্ত্র চোখে পড়ে তার। কিন্তু সেটা কাঁচ দিয়ে বাধা। উইন্সলেট কাঁচ ভেঙে ফেলেন। কিন্তু পরমুহূর্তেই তিনি ছোট আকারের ওই কুড়ালটি নিতে গেলে সেখানে আবার কাঁচ দেখা যায়।

* দুটি ছবি দেখুন, কেট উইন্সলেট ও লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিওর পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া মানুষটির কোটের রঙ এবং দৈঘ্র্যের কোনো মিল নেই।

* এটাকে কি বলা যায়? সম্পাদনার ভুল নাকি বেখেয়ালি হয়ে যাওয়া? দরজার কাঁচে ক্যামেোর প্রতিচ্ছবি! এ-ও কি সম্ভব!

* প্রেমের টানে সাড়া দিয়ে টাইটানিকের রেলিংয়ের শেষ প্রান্তে লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিওর কাছে যান কেট উইন্সলেট। আগের দৃশ্যে পর্যাপ্ত জায়গা আছে মনে হলেও পরের দৃশ্যেই তা উধাও!

* কেট উইন্সলেট কুড়াল দিয়ে ডিক্যাপ্রিওকে পরানো হাতকড়া ভেঙেছেন। ভালো কথা। কিন্তু কুড়ালের কোপ হাতকড়ায় না পরে ডিক্যাপ্রিওর হাতে পড়লো সে খেয়াল ছিলো না জেমস ক্যামেরনের। হায় ঈশ্বর!

* টাইটানিক গড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু টাইটানিকের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা ছোট ডিঙি নৌকা দিব্যি সোজা হয়ে আছে!

* টাইটানিক ডুবে যাওয়ার আগে বুদ্ধিমান জ্যাক প্রেমিকাকে নিয়ে গোড়ায় উঠে যান। তাদের পাশেই এক ব্যক্তি ছিলেন। কিন্তু তিনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। সমস্যা হলো, পড়ে যাওয়ার সময় তাকে লাইফজ্যাকেট জড়িয়ে রাখতে দেখানো হয়েছে। এটা কোনো কথা হলো!

* টাইটানিক দুই টুকরো হয়ে ভেঙে যাওয়ার আগে আলো থাকার সময় এর অবকাঠামোগত নির্দিষ্ট জিনিসপত্র থাকলেও আলো নিভে যাওয়ার পর তা দেখা যায়নি।

* বরফখন্ডে আঘাতের আগে টাইটানিকের পাইপের আকার একরকম থাকলেও ডুবে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে সেটা অন্যরকম দেখিয়েছে!

* টাইটানিকের নিচের দিকের এক কক্ষে হাতকড়া পরিয়ে আটকে রাখা হয় লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিওকে। সে সময় তার পোশাকের ওপর ক্রস বেল্ট (ইংরেজি এক্স বর্ণমালার মতো) থাকলেও উইন্সলেটকে হাতকড়া ভাঙতে বলার সময় তার পোশাক থেকে সেটা উধাও হয়ে যায়।

* জেমস ক্যামেরনের টাইটানিকের সব জিনিসপত্র যে ফোমের তৈরি তা একটু লক্ষ্য করলেই বোঝা যায়। তাই এই জাহাজের ডুবে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু না!

* কেট উইন্সলেটকে নিয়ে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্রদের ডেকে আনন্দ-ফূর্তি করতে যান লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিও। সে সময় শুরুতে তার চুলগুলো কপাল বেয়ে নেমে এলেও পরক্ষণেই তা পরিপাটি হয়ে গেছে। হায়রে কি জাদু!

* টাইটানিক হেলে গেছে, তাই যাত্রীদেরও গড়িয়ে নিচে পড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। দৃশ্যটি ধারণের জন্য জেমস ক্যামেরন ও তার দল অভিনয়শিল্পীদের গায়ের পোশাকে তার জড়িয়ে দেন। সেটা টানতেই সবাই গড়িয়ে পড়তে থাকে। কিন্তু তা পর্দায় দেখা গেলে পরিচালকের কেরামতি কোথায় রইলো!

* একটি দৃশ্যে তিনজনকে দিনের বেলায় সূর্যের আলোয় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে জাহাজের তিন কর্মকর্তাকে। তাদের মধ্যে একজনের ছায়ায় ক্যাপের যে মাপ দেখা গেছে আসল ক্যাপ ছিলো সে তুলনায় ছোট। ফলে সহজেই বোঝাই যাচ্ছে, দৃশ্যটি বানানো হয়েছে কম্পিউটারে।

* টাইটানিকের ভেতর বরফজল ঢুকে পড়েছে। এর মধ্যেওে হৃদয়ঘটিত ব্যাপার চলছিলোই। উইন্সলেটকে বিয়ে করতে চাওয়া বিলি জেন প্রেমিকাকে নিয়ে ডিক্যাপ্রিওর পালিয়ে যাওয়ার সময় গুলি করেন। সেই গুলি থেকে বাঁচতে টাইটানিকের অভ্যন্তরে বাড়তে থাকা জলে পেরিয়ে ছুটতে থাকেন দু’জনে। ওই দৃশ্যে কারিগরি বিভাগের লাইট বিচক্ষণ দর্শকের চোখ এড়ায়নি।

* ডিক্যাপ্রিওকে উদ্ধার করতে ভয়-ভীতি দূর করে এগিয়ে আসেন উইন্সলেট। তিনি আসার সময় পাশের কক্ষে কোনো বালিশ দেখা যায়নি। কুড়াল খুঁজতে তিনি যখন যাচ্ছিলেন তখন জাদুকরি বালিশ এলো কোত্থেকে!

* উইন্সলেটের অনাবৃত ছবি আঁকতে কাগজ আর পেন্সিল নেন ডিক্যাপ্রিও। শুরুতে কাগজে দাগ দেখা গেলেও পরক্ষণে সেই দাগ উধাও হয়ে যায়!

* বিত্তশালীর মেয়ে হলেও হতাশা থেকে কেট উইন্সলেট আত্মহত্যা করতে টাইটানিকের রেলিং ধরে নেমে পড়তে যান সাগরে। তাকে থামান ডিক্যাপ্রিও। রেলিং ধরে কেট দাঁড়িয়ে থাকার সময় তার হাতের সঙ্গে কালো রঙা লেইস দেখা যায়। কিন্তু পরক্ষণে তা আর দেখা যায়নি।
POSTED BY BIKRAM
No comments:
Post a Comment